
ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাদেশ জারির এক দফা দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে অনড় অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করার কথাও বলছেন তারা।
আগের দিন সারা রাত সচিবালয়মুখে হাইকোর্টের গেটের সামনের চত্ত্বর কয়েক দফায় বক্লেডসহ অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। তবে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় দেড় থেকে দুইশ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে শিক্ষা ভবনের পেছনের অংশে সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে তাদের দাবির কথা তুলে ধরছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আলোচনা সাপেক্ষে তারা পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী নূর নবী ইসলাম বলেন, অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত আছে। রাতেও আমরা এখানে অবস্থান করেছি। সরকারের সিদ্ধান্ত না পেলে আন্দোলন চালিয়ে যাবো আমরা। ওপর থেকে সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত সরছি না।
সুমাইয়া তাহমিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, অধ্যাদেশ না নিয়ে আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। আমাদের দাবি যৌক্তিক, দাবি মানতেই হবে; নাহলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, রাতে শিক্ষা ভবনের সামনে তথা আবদুল গনি সড়কে অবস্থান করেছেন তারা।
আজ সকাল ১০টায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে শিক্ষা ভবনের পেছনের অংশে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলা হয়।
রোববার সকালে সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষা ভবন মোড়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। দুপুরে তারা শিক্ষা ভবনের সামনের সড়কের মোড়ে অবস্থান নেন।
পরে বিকেলে তারা হাইকোর্ট মোড় অবরোধ করেন। এতে হাইকোর্ট মোড় দিয়ে প্রেস ক্লাব, গুলিস্তান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সচিবালয় অভিমুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, সাত কলেজ নিয়ে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ ঘোষণার আগ পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন শিক্ষার্থীরা।